বর্তমান
শিক্ষা ব্যাবস্থা
আমাদের উচিত সন্তানদেরকে সর্বপ্রথম
কুরআন শিক্ষা দেওয়া । অতচ এত গুরুত্বপূর্ণ একটি
বিসয়কে গুরুত্বহীন মনে করা হচ্ছে এই মুসলিম সমাজেও। দেখুন!
সন্তানদেরকে কুরআন না শিখিয়ে আমরা কী শিক্ষা দিচ্ছি-
‘‘ হাট্টিমা টিম টিম
তারা মাঠে পাড়ে ডিম
তাদের খাড়া দু’টো শিং ’’
এ ধরনের কোণো প্রাণীর কোণো সন্ধান মেলেনী
কেউ কখোনো দেখেননি । তাই কবিতাটি কাল্পনিক ও মিথ্যা । কারণ , যে সমস্ত প্রাণী ডিম পাড়ে তাদের মাথায় শিং থাকে না ।
‘‘ আগডোম বাগডোম
ঘোড়াডোম সাজে”
ঘোড়া কখনোই ডিম পাড়েনা , বিধায় এটিও মিথ্যা কথা শৈশবে বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দিয়েই
মিথ্যার
ট্রেনিং দেয়া হল । ‘‘ মিথ্যার বীজ
দিয়ে সত্যের ফসল উদপাদন করা যায় না ।
‘‘ আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা
ফুল তুলিতে যাই ’’
ফুলের মালা গলায়
দিয়ে
মামার বাড়ি যাই ।’’
ছেলে আর মেয়েদেরকে ফুল তুলতে ডাকার
উদ্দেশ্য কী ? ফুল তুলতে তো যেতে হবে বাগানে । ছেলে মেয়েদেরকে বাগানে পাঠিয়ে দিয়ে
তাদেরকে দেয়া হচ্ছে প্রেমের কোচিং দুজন কে ফুল বাগানে পাঠিয়ে দিয়ে চরিত্র নষ্টের
নিরাপদ রাস্তা দেখিয়ে দেয়া হল । কবিতাটি ভিন্ন ভাবে লেখা যেত । যেমন-
‘‘
আয় ছেলেরা আয় ছেলেরা ’’
অথবা
‘‘ আয়
মেয়েরা আয় মেয়েরা ’’
কিন্তু তা করা হলো না । বরং ছেলে
মেয়ে উভয়কে বাগানে পাঠানোর উদ্দেশ্যই হল অনৈতিক শিক্ষা দেয়া ।
এবার কবিতার দ্বিতীয় ছত্র-
‘‘ফূলের মালা গোলায়
দিয়ে
মামার বাড়ি
যাই।’’
মামার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হল, অবৈধ সম্পর্কের
আরো পূর্ণতা দিতে। এখন মামার বাড়িতে বসে রেডিও ও টেলিভিশনের আসরে বিজ্ঞাপনে জানানো হল-
‘‘ একা একা
খেতে চাও ?
দরজা বন্ধ
করে খাও ’’
এর দ্বারা গোটা জাতিকে চোর হওয়ার ও চুরি করে
খাওয়ার ট্রেনিং দেওয়া হয় । এ জাতিও শিক্ষা ও সংস্কৃতি জাতির চরিত্র গরতে
পারে না । বরং আল্লাহর চিঠি আল কুরআন পাঠই কেবল পারে আদর্শ মানব ও সমাজ গরতে । তাই
বিশ্ব মানবাতার উদকর্শ সাধনে কুরআন শিক্ষার বিকল্প নেই ।
এই কুরআনের সংস্পর্শে যাতে শিশুরা আসতে না পারে সে জন্য আবিষ্কৃত হল কে. জি স্কুল
। সকালে ঘুম থেকে উঠেই শিশুরা অনেক বেশী ওজনের বই ব্যাগ নিয়ে স্কুলে রওনা করে ।
ফলে বঞ্চিত হল জাতি পবিত্র কুরআনের সু –শিক্ষা
থেকে । এরপর সরকারি শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক পর্যায়ে ধর্মিও শিক্ষার যথেষ্ট অভাব । অথচ
আধুনিক ও ধর্মিও শিক্ষার সমন্বয়ে সিলেবাস তৈরি করে এ জাতিকে যোগ্য নাগরিক হিসাবে
গড়ে তোলা যেত । ধর্মীও শিক্ষা কুরআন-হাদিসের +সাইন্স + আর্টস + কমার্স = উচ্চ
শিক্ষায় শিক্ষিত সু-নাগরিক ।আমাদের দেশে স্কুল গুলোতে বাংলা বাধ্যতামূলক তাই বাংলা
পরতে পাড়ে । ইংরেজী আবশ্যিক তাই এটাও বেশ গুরুত্ব দিয়ে পড়ে । যদি কুরআন ও হাদীস
মাত্র ১০০ নম্বরের জন্যও বাধ্যতামূলক থাকত,
তাহলে একদিক থেকে তৈরী হতো সালাতের জন্য যোগ্য ঈমাম বা ধর্মীয় নেতা অন্যদিক থেকে
দেশ পরিচালোনার যোগ্য কারিগর হিসাবে গড়ে ওঠার সুযোগ ছিল । কিন্তু তা করা হয়নি এবং হলেও না ।
No comments:
Post a Comment