Disqus Shortname

LightBlog
Responsive Ads Here

Friday, June 23, 2017

Bartoman sikkha bazbostha

  


                                  বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থা
আমাদের উচিত সন্তানদেরকে সর্বপ্রথম কুরআন শিক্ষা দেওয়া অতচ এত গুরুত্বপূর্ণ একটি
বিসয়কে গুরুত্বহীন  মনে করা হচ্ছে এই মুসলিম সমাজেও। দেখুন! সন্তানদেরকে কুরআন না শিখিয়ে আমরা কী শিক্ষা দিচ্ছি
                                         ‘‘ হাট্টিমা টিম টিম
                                       তারা মাঠে পাড়ে ডিম
                                      তাদের খাড়া দুটো শিং ’’
এ ধরনের কোণো প্রাণীর কোণো সন্ধান মেলেনী কেউ কখোনো দেখেননি তাই কবিতাটি কাল্পনিক ও মিথ্যা কারণ , যে সমস্ত প্রাণী ডিম পাড়ে তাদের মাথায় শিং থাকে না
                                      ‘‘ আগডোম বাগডোম
                                        ঘোড়াডোম সাজে
ঘোড়া কখনোই ডিম পাড়েনা , বিধায় এটিও মিথ্যা কথা শৈশবে বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দিয়েই মিথ্যার    
ট্রেনিং দেয়া হল । ‘‘ মিথ্যার বীজ দিয়ে সত্যের ফসল  উদপাদন করা যায় না ।
                               ‘‘ আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা
                                     ফুল তুলিতে যাই ’’
                                   ফুলের মালা গলায় দিয়ে 
                                     মামার বাড়ি যাই ’’
ছেলে আর মেয়েদেরকে ফুল তুলতে ডাকার উদ্দেশ্য কী ? ফুল তুলতে তো যেতে হবে বাগানে । ছেলে মেয়েদেরকে বাগানে পাঠিয়ে দিয়ে তাদেরকে দেয়া হচ্ছে প্রেমের কোচিং দুজন কে ফুল বাগানে পাঠিয়ে দিয়ে চরিত্র নষ্টের নিরাপদ রাস্তা দেখিয়ে দেয়া হল । কবিতাটি ভিন্ন ভাবে লেখা যেত । যেমন-                  
                                   ‘‘ আয় ছেলেরা আয় ছেলেরা ’’
                                                 অথবা
                                    ‘‘ আয় মেয়েরা আয় মেয়েরা ’’
কিন্তু তা করা হলো না । বরং ছেলে মেয়ে উভয়কে বাগানে পাঠানোর উদ্দেশ্যই হল অনৈতিক শিক্ষা দেয়া ।
এবার কবিতার দ্বিতীয় ছত্র-
                               ‘‘ফূলের মালা গোলায় দিয়ে
                                    মামার বাড়ি যাই।’’
মামার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হল, অবৈধ সম্পর্কের আরো পূর্ণতা দিতে। এখন মামার বাড়িতে বসে রেডিও ও টেলিভিশনের  আসরে বিজ্ঞাপনে জানানো হল-                                                          
                                    ‘‘ একা একা খেতে চাও ?
                                      দরজা বন্ধ করে খাও ’’

এর দ্বারা গোটা জাতিকে চোর হওয়ার ও চুরি করে খাওয়ার ট্রেনিং দেওয়া হয় । এ জাতিও শিক্ষা ও সংস্কৃতি জাতির চরিত্র গরতে পারে না । বরং আল্লাহর চিঠি আল কুরআন পাঠই কেবল পারে আদর্শ মানব ও সমাজ গরতে । তাই বিশ্ব মানবাতার উদকর্শ সাধনে কুরআন শিক্ষার বিকল্প নেই । এই কুরআনের সংস্পর্শে যাতে শিশুরা আসতে না পারে সে জন্য আবিষ্কৃত হল কে. জি স্কুল । সকালে ঘুম থেকে উঠেই শিশুরা অনেক বেশী ওজনের বই ব্যাগ নিয়ে স্কুলে রওনা করে । ফলে  বঞ্চিত হল জাতি পবিত্র কুরআনের সু –শিক্ষা থেকে । এরপর সরকারি শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক পর্যায়ে ধর্মিও শিক্ষার যথেষ্ট অভাব । অথচ আধুনিক ও ধর্মিও শিক্ষার সমন্বয়ে সিলেবাস তৈরি করে এ জাতিকে যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা যেত । ধর্মীও শিক্ষা কুরআন-হাদিসের +সাইন্স + আর্টস + কমার্স = উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত সু-নাগরিক ।আমাদের দেশে স্কুল গুলোতে বাংলা বাধ্যতামূলক তাই বাংলা পরতে পাড়ে । ইংরেজী আবশ্যিক তাই এটাও বেশ গুরুত্ব দিয়ে পড়ে । যদি কুরআন ও হাদীস মাত্র ১০০ নম্বরের জন্যও  বাধ্যতামূলক থাকত, তাহলে একদিক থেকে তৈরী হতো সালাতের জন্য যোগ্য ঈমাম বা ধর্মীয় নেতা অন্যদিক থেকে দেশ পরিচালোনার যোগ্য কারিগর হিসাবে গড়ে ওঠার সুযোগ ছিল ।   কিন্তু তা করা হয়নি এবং হলেও না ।  

No comments:

Post a Comment

ভাস্কর্য নির্মানের ইতিহাস- SM Abdul Alim

ভাস্কর্য নির্মানের ইতিহাস- SM Abdul Alim    প্রিয় ভিউয়ারস, উন্নত এবং সুন্দর সুন্দর ইসলামিক গান, গজল, কুরআন তেলয়াত, ইসলামিক অনুষ্ঠান ইস...